ভাবলে অবাক হতে হয় ৮৪ রানের মধ্যে বিরাট কোহলি ৬৪টা সিঙ্গেল ডাবল নিয়েছে। একটা সময় তার প্রথম ২৫ টা বলেই ২৩টা সিঙ্গেল ডবল ছিল। মাত্র ২০ রান সে করেছে বাউন্ডারিতে, ৫টা চার সে মেরেছে। বাকি সারাটা দিন সে ছুটেই গেল। এটাই বিরাট কোহলির মত একজন লেজেন্ডারি ক্রিকেটারের গেম অ্যাওয়ারনেস।
তিনি ভালোভাবেই জানেন কোন সিচুয়েশনে কেমন ভাবে ইনিংসটা পেস করা উচিত।বিরাট কোহলিকে কভার ড্রাইভ খেলতে সবাই দেখেছেন কিন্তু তার ওয়ানডে ক্রিকেটে সব থেকে বড় সফলতার কারণ হচ্ছে সিঙ্গেল গেম, ২০১১ সাল থেকে যারা বিরাট কোহলির উত্থান দেখেছে তারা খুব ভালোভাবেই জানে বিরাট কোহলি কতটা ফ্লুয়েন্টলি স্ট্রাইক রোটেট করে এবং ডট বল খেলতে চাই না। আজ সে শুধু জোর দিয়েছে সিঙ্গেল নেওয়ার উপরে,আর ওয়ানডে গেম কি করে খেলতে হয় সেটাই আরেকবার শিখিয়ে দিল বিরাট।
আবার আজকালকার দিনে একটা প্লেয়ার সেঞ্চুরি করতে বহুবার ক্রাম্প হয়, মাঠের মধ্যে শুয়ে পড়ে, সেখানে বিরাট কোহলি সারাটা দিন ছুটে বেরিয়ে, এত এত সিঙ্গেল নিয়েও একটা ক্র্যাম্প পর্যন্ত হয় না এটা বিরাট কোহলির ফিটনেস, যেটা তাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে। ♥️বরুণ চক্রবর্তীর মিসট্রি থেকে শুরু করে, কুলদীপ, জাদেজা অক্ষরের ঘূর্ণি আবার মোহাম্মদ শামির প্রথম স্পেলে অবিশ্বাস্য বোলিং, রোহিতের কুইকফায়ার শুরু থেকে কোহলির মাস্টারক্লাস।
বেস্ট এভার নাম্বার ফোর শ্রেয়সের দুরন্ত ব্যাটিং থেকে কে এল এর দায়িত্বপূর্ণ ফিনিশিং, হার্দিকের দুমদাম ব্যাট চালানো থেকে শুরু করে অক্ষরের দ্রুত একটা ক্যামিও।এটাকে বলে টিম গেম, প্রত্যেকেটা প্লেয়ার কঠিন লড়াই করে অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে জয়টা ছিনিয়ে এনেছে।
সম্পূর্ণ টিম গেমে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে 2023 বিশ্বকাপের বদলা নিল ভারত। যারা আরেকটু পুরনো ক্রিকেট ফ্যান তারা জানবে ২০১৫ এর সেমিফাইনালে আমাদের হারটা কতটা বুকে লেগেছিল, সেটারও বদলা নিল ভারতীয় দল।
সব মিলিয়ে ভারতীয় দল যথেষ্ট শক্তিশালী এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।