দীর্ঘ দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। অবশেষে সফল হলেন সঞ্জীব গোয়েন্কা। ইংল্যান্ডের ‘দ্য হানড্রেড’ লিগের দল ম্যাঞ্চেস্টার অরিজিনালসের মালিকানার অর্ধেক কিনে নিলেন তিনি। সোমবার দলটির তরফে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ৪৯ শতাংশ মালিকানা কিনেছে গোয়েন্কার সংস্থা আরপিএসজি গ্রুপ। বাকি অংশের মালিক ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি দল।আইপিএলে গোয়েন্কা লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের মালিক। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর দল ডারবান সুপার জায়ান্টস। এ বার ইংল্যান্ডেও খেলবে তাঁর দল। ৪৯ শতাংশ মালিকানা কিনতে গোয়েন্কা ১২৫১ কোটি টাকা খরচ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ল্যাঙ্কাশায়ার অনেক দিন ধরেই আইপিএলের কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। একাধিক দলের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছিল তারা। ম্যাঞ্চেস্টার দলটি কেনার জন্য গোয়েন্কার সংস্থা ছাড়াও আইপিএলের আরও একটি দল এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মালিক গ্লেজ়ার পরিবার লড়াইয়ে ছিল। শোনা যাচ্ছে সেই আইপিএলের দলটি হল শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে ই-নিলামে গোয়েন্কাদের ‘বিড’ সবচেয়ে বেশি অর্থের হওয়ায় তারাই ৪৯ শতাংশ মালিকানা পেয়েছে।
গোয়েন্কা অবশ্য শুরুতে ম্যাঞ্চেস্টার দলটি কিনতে আগ্রহী হননি। তিনি লন্ডন স্পিরিট্স দলটির অংশীদারিত্ব কিনতে উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির বেশ কিছু প্রযুক্তি সংস্থাকে নিয়ে গঠিত ‘কনসর্টিয়াম’ লন্ডনের দলটি কিনে নেয়। তার পরেই গোয়েন্কা চেষ্টা করেন ম্যাঞ্চেস্টার কিনতে। সেই কাজে তিনি সফল।আপাতত ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে আট সপ্তাহ আলোচনা হবে আরপিএসজি গ্রুপের। চুক্তির বিভিন্ন বিষয়, লাভ-ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, গত বছর অগস্টে আরপিএসজি গ্রুপের কিছু কর্তা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গিয়েছিলেন। সেখানেই দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখানো হয়। ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে ইদানীং ভারতের সম্পর্কও ভাল। সম্প্রতি ভারতে এসে তাদের কাউন্টি দল খেলে গিয়েছে। পাশাপাশি ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলেছেন শ্রেয়স আয়ার, বেঙ্কটেশ আয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো ভারতীয় ক্রিকেটার। পরের মাসে ভারতে প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি আসার কথা ল্যাঙ্কাশায়ারের।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বার বার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। যে কোনও বোলার তাঁকে আউট করছিলেন এই ধরনের বল করে। রঞ্জি খেলতে নামা কোহলিকে আউট করার জন্য সেই ধরনের বল করার পরামর্শই পেয়েছিলেন রেলওয়েজ়ের বোলার হিমাংশু সাঙ্গওয়ান।যা দিয়েছিলেন এক বাসচালক।রঞ্জিতে কোহলি মাত্র ১৫ বল খেলে আউট হয়ে যান। হিমাংশুর বলে অফ স্টাম্প ছিটকে যায় তাঁর। তার পর থেকেই চর্চায় রেলওয়েজ়ের পেসার। তিনিই জানালেন কোহলিকে বল করতে আসার আগে এক বাসচালকের থেকে পাওয়া পরামর্শের কথা। হিমাংশু বলেন, “আমি রেলওয়েজ়ের প্রধান পেসার। দলের সকলে বলছিল আমিই কোহলির উইকেট নেব। আমরা যে বাসে করে হোটেল থেকে মাঠে আসছিলাম, সেই বাসচালক আমাকে বলেছিলেন, কোহলিকে চতুর্থ বা পঞ্চম স্টাম্পে বল করতে। আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করেছিলাম। নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। তাতেই উইকেট পাই।”
কোহলিকে আউট করার পর থেকেই চর্চা শুরু হয়ে যায় হিমাংশুকে নিয়ে।আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “বিরাট আমাকে যে বলটাতে চার মেরেছিল, ওটাই আমাকে তাতিয়ে দেয়। পরের বলটা আমি ব্যাকস্পিন করেছিলেন। মহম্মদ শামিকে আমি ওই রকম বল করতে দেখেছি। সেটাই করার চেষ্টা করেছিলাম। দেখবেন বলটা মাটিতে পড়ার পর সোজা যাচ্ছিল। ব্যাটের কাছে গিয়ে ভিতর দিকে ঢোকে, যে কারণে ব্যাট আর পায়ের মাঝখান দিয়ে গিয়ে উইকেট ভেঙে দেয়।”হিমাংশু জানিয়েছেন যে, তাঁরা শুরুতে জানতেন না যে ম্যাচটা লাইভ দেখানো হবে।
রেলওয়েজ়ের পেসার বলেন, “ম্যাচের আগে আমরা জানতাম বিরাট কোহলি এবং ঋষভ পন্থ খেলবে দিল্লির হয়ে। সেই সময় এটা জানতাম না যে, খেলাটা সরাসরি দেখানো হবে। পরে জানতে পারি পন্থ খেলবে না, তবে কোহলি খেলবে আর ম্যাচটা সরাসরি দেখানো হবে।”সব মিলিয়ে বিরাট কোহলি কে আউট করার পর থেকে রীতিমত শিরোনামে উঠে এসেছেন এই বোলার।